বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
আবু বকর অন্তু, রাবি থেকে॥
দীর্ঘ ৫ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শফিউল ইসলাম লিলন হত্যা মামলায় তিন জনকে মৃত্যুদন্ড এবং ৮ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে এই রায় ঘোষণা করেন বিচারক অনুপ কুমার।
এর আগে, গত ৪ এপ্রিল রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাাইব্যুনালে মামলার যুক্তি-তর্ক শেষে বিচারক অনুপ কুমার রায় মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, রাজশাহী কাটাখালী পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি আরিফুল ইসলাম মানিক, আব্দুস সালাম পিন্টু, যুবদল নেতা ও সবুজ শেখ। এরমধ্যে সবুজ শেখ পলাতক রয়েছে অন্যরা রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া খালাস প্রাপ্তরা হলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জল, পিন্টুর স্ত্রী নাসরিন আক্তার রেশমা, সিরাজুল ইসলাম কালু, আল-মামুন, সাগর, জিন্নাত, আরিফ ও ইব্রাহীম খলিল ওরফে বাবু।
গত, ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ড. শফিউল ইসলামকে। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মুহাম্মদ এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে ওই বছর ২৩ নভেম্বর যুবদল নেতা আব্দুস সামাদ পিন্টুসহ ছয় জনকে আটক করে র্যাব। পরে পিন্টুর স্ত্রী নাসরিন আখতার রেশমাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। হত্যাকান্ডে দায় স্বীকার করে রেশমা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন। এর এক বছর পর ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রেজাউস সাদিক রাজশাহী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জলসহ ১১ জনের বিরদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখায় কর্মরত নাসরিন আখতারের সঙ্গে শফিউল ইসলামের দ্বন্দ্বের জের ধরেই তার স্বামী যুবদল নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু সাঙ্গ-পাঙ্গ নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী এনতাজুল হক বাবু জানান, এই মামলায় গত ১৩ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছিল। এ মামলায় ৩৩ জনের সাক্ষ্য নেয় আদালত। যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এই রায় ঘোষনা করেছেন।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. মু জুলফিকার আলী ইসলাম জানান, টেলিভিশনের মাধ্যমে আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছে। তবে এখনও রায়ের কপি আমাদের কাছে আসেনী।